ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার পরিসর বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ফাইল ফটো

 

অনলাইন ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণার পরিসর আরো সম্প্রসারণ এবং গবেষণালব্ধ অর্জিত জ্ঞান দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

 

তিনি বলেন, ‘বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উদ্ভাবনের জন্য কাজ করতে, গবেষণার পরিসর বাড়াতে এবং গবেষণায় অর্জিত জ্ঞান দেশ ও জনগণের কল্যাণে প্রয়োগ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বার্তায় অধ্যাপক ইউনূস এ কথা বলেন। আগামীকাল দিনটি উদ্‌যাপন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সততা ও নৈতিকতা সমুন্নত রেখে অর্জিত জ্ঞানের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে।

 

তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতেও বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে প্রত্যাশিত অবদান রাখবে।’

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ড. ইউনূস বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্য-শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

 

তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার প্রসারে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই হয়েছে, যার ধারাবাহিকতায় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছে।

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই অভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘গত ফ্যাসিবাদী শাসনের অন্যায় ও নিপীড়নের শৃঙ্খল ভেঙে এখন আমরা বৈষম্যহীন ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।’

 

দেশকে নতুনভাবে পুনর্গঠনের জন্য গভীর দেশপ্রেম, মানবিকতা ও উদার মানসিকতা সম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস।

 

তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী প্রজন্মকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে আরও সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’

 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য-‘বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’-একটি সময়োপযোগী চিন্তা।

 

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন তিনি। সূত্র: বাসস

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ

» রাজনৈতিক দলপন্থি না হয়ে আপনারা বাংলাদেশপন্থি পুলিশ হয়ে ওঠেন : হাসনা

» দেশের স্বার্থে সবচেয়ে বেশি ‘স্যাক্রিফাইস’ করেছে বিএনপি: তারেক রহমান

» রংপুরে ১৭ বছর পর ৪ জুলাই জামায়াতের সমাবেশ

» খুনিদের বিচার না হলে সব থানা পটিয়া হয়ে উঠবে: সারজিস

» ‘হাতপাখার সমাবেশ’ বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ : ফারুক

» নতুন বাংলাদেশে নতুন করে চাঁদাবাজ হতে দেওয়া যাবে না: হাসনাত

» কোনো স্বৈরাচার চিরকাল ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না: নাহিদ

» যখনই গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে, বিএনপি সোচ্চার হয়েছে: তারেক রহমান

» রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঠাল খেলেন নাহিদ-হাসনাত-সার্জিসরা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার পরিসর বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ফাইল ফটো

 

অনলাইন ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণার পরিসর আরো সম্প্রসারণ এবং গবেষণালব্ধ অর্জিত জ্ঞান দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

 

তিনি বলেন, ‘বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উদ্ভাবনের জন্য কাজ করতে, গবেষণার পরিসর বাড়াতে এবং গবেষণায় অর্জিত জ্ঞান দেশ ও জনগণের কল্যাণে প্রয়োগ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বার্তায় অধ্যাপক ইউনূস এ কথা বলেন। আগামীকাল দিনটি উদ্‌যাপন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সততা ও নৈতিকতা সমুন্নত রেখে অর্জিত জ্ঞানের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে।

 

তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতেও বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে প্রত্যাশিত অবদান রাখবে।’

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ড. ইউনূস বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্য-শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

 

তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার প্রসারে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই হয়েছে, যার ধারাবাহিকতায় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছে।

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই অভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘গত ফ্যাসিবাদী শাসনের অন্যায় ও নিপীড়নের শৃঙ্খল ভেঙে এখন আমরা বৈষম্যহীন ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।’

 

দেশকে নতুনভাবে পুনর্গঠনের জন্য গভীর দেশপ্রেম, মানবিকতা ও উদার মানসিকতা সম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস।

 

তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী প্রজন্মকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে আরও সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’

 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য-‘বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’-একটি সময়োপযোগী চিন্তা।

 

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন তিনি। সূত্র: বাসস

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com